পেয়ারা মেক্সিকো এবং দক্ষিণ আমেরিকার একটি ফল। বর্তমানে আমাদের দেশে প্রচুর পরিমাণে হয়। পেয়ারা নানা পুষ্টি উপাদানে সমৃদ্ধ একটি ফল। তাই এই ফলকে সুপার ফুড বলে।
পেয়ারায় প্রচুর পরিমাণে দ্রবীভূত খাদ্য আঁশ আছে। সেই সঙ্গে আছে অত্যধিক পরিমাণ ভিটামিন সি। পেয়ারা থেকে কমলালেবুর তুলনায় চার-পাঁচ গুণ বেশি ভিটামিন সি পাওয়া যায়। একটি পেয়ারায় যে পরিমাণ ভিটামিন সি আছে, তা আমাদের এক দিনের চাহিদার তিন গুণ। ভিটামিন-‘এ’র একটি ভালো উৎস। পেয়ারায় সমপরিমাণ কলার চেয়ে বেশি পটাসিয়াম আছে। এ ছাড়া আছে ভিটামিন বি, ভিটামিন ই ও ভিটামিন কে। খনিজ লবণের মধ্যে আছে ম্যাগনেসিয়াম, কপার ও ম্যাঙ্গানিজ।
অত্যধিক মাত্রায় দ্রবীভূত পেয়ারার খাদ্য আঁশ ল্যাক্সিটেভের মতো কাজ করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে। এই আঁশ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায় এবং বিষক্রিয়া থেকে কোলনের উপরিভাগকে রক্ষা করে কোলন ক্যান্সার থেকে মুক্ত রাখে। পেয়ারার অতিরিক্ত মাত্রার ভিটামিন সি এন্টি অক্সেডিন্ট হিসেবে কাজ করে ফ্রি রেডিক্যালস নিষ্ক্রিয় করে দেয় এবং ত্বকের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। এটা শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ, হাড়, রক্ত নালি এবং ত্বকের কোলাজেন তৈরিতে সাহায্য করে। পেয়ারার ভিটামিন এ এবং ফ্লাভোনয়েড ত্বকের ক্যান্সার ও রাতকানা রোগ থেকে রক্ষা করে। এর লাইকোপিন সানস্ক্রিনের মতো ইউভি রশ্মি থেকে ত্বককে বাঁচায় এবং প্রোস্টেট ক্যান্সার হওয়া প্রতিরোধ করে।
পেয়ারার পটাসিয়াম হার্ট-রেটকে নিয়ন্ত্রণ করে ব্লাডপ্রেশারকে স্বাভাবিক রাখে। এর কপার হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়ায় এবং থাইরয়েডের কার্যক্ষমতাকে ঠিক রাখে। পেয়ারা কোলেস্টেরল কমায়, স্কার্ভি প্রতিরোধ করে, অ্যাজমা এবং ফুসফুসে রক্ত জমাট বাঁধতে বাধা দেয়। এটা দাঁত ও মাড়ির ব্যথা কমায় এবং ঠাণ্ডা ও কফ নিয়ন্ত্রণ করে।